ভারত বেশ কিছু কৃষিপণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াশিংটন, ডিসির হোয়াইট হাউসে যান, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে এই বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
উভয় দেশ বাণিজ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে।
ভারতে সাম্প্রতিক নির্বাচনী জয়ের পর মোদির এই সফর, যা প্রমাণ করে যে তার দেশ আত্মবিশ্বাসী এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সাথে তার বৈঠকের সময়, প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি ছিল বাণিজ্য।
দুই নেতা তাদের দেশের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এই ব্যবধান কমাতে, ভারত অনেক আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, হার্লে-ডেভিডসন মোটরসাইকেলের মতো সুপরিচিত আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে।
এছাড়াও, ভারত বাদাম, আপেল এবং অন্যান্য ফলের মতো বেশ কিছু কৃষিপণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি।
এর একটি প্রধান আকর্ষণ আলোচনা মার্কিন কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিক এবং ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি ছিল।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতে জেট ইঞ্জিন তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পকে চাঙ্গা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই চুক্তিতে উন্নত MQ-9B সিগার্ডিয়ান ড্রোন বিক্রিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ড্রোনগুলি নজরদারি এবং প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলো বিক্রির ফলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সাথে দেখা করার আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের সাথেও আলোচনা করেছিলেন।
তার একটি বৈঠক ছিল ইলনস্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা। মাস্কের সাথে তার সন্তানরা এবং তার শীর্ষ নির্বাহীদের একজন শিভন জিলিসও যোগ দিয়েছিলেন।
এই বৈঠকটি দেখিয়েছে যে আজকের বৈশ্বিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
ইলন মাস্ক ছাড়াও, মোদী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীর সাথেও দেখা করেছেন।
এই আলোচনাগুলি বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সফরকে আরও গভীর করে তোলে।
সফরের সময় অভিবাসন ছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উভয় নেতা ১০৪ জনের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কথা বলেছেন অভিবাসীদের নতুন মার্কিন অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে।
বৈঠকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
উভয় নেতা আসন্ন কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে কথা বলেছেন, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই শীর্ষ সম্মেলন এই দেশগুলির মধ্যে নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি ভাগাভাগি উন্নত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদীর আগমন দেখুন এখানে।
